অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : আড়াই শতাংশ সরকারি প্রণোদনা থাকা সত্ত্বেও গতি বাড়ছে না রেমিট্যান্সের। এর অন্যতম কারণ বৈধ উপায়ে টাকা না পাঠিয়ে হুন্ডিসহ বিভিন্ন অবৈধ মাধ্যম ব্যবহার করছেন প্রবাসীরা। এ অবস্থায় সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিভিন্ন অঞ্চলে বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোর এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা চালুর দাবি প্রবাসীদের।
১০ লাখের বেশি বাংলাদেশী বিভিন্ন পেশায় কাজ করেন মরুর দেশ আরব আমিরাতে। বিশাল এই সংখ্যায় প্রবাসী থাকা সত্ত্বেও আমিরাত থেকে ক্রমে কমে যাচ্ছে রেমিট্যান্স প্রবাহ। কারণ এখানকার বেশিরভাগ প্রবাসীই দেশে টাকা পাঠাতে ব্যবহার করছে হুন্ডিসহ নানা অবৈধ মাধ্যম।
নেফ্লেক্স গ্রুপ ইউএই চেয়ারম্যান একে এ আজাদ বলেন, “বাংলাদেশে বৈধ পথে টাকা পাঠানোর পরিমাণ গতবছরের চেয়ে অনেক কমে গেছে। এটা বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য অত্যন্ত হুমকি। আমরা যারা প্রবাসে আছি বা রেমিট্যান্সযোদ্ধা আমাদের দায়িত্ব অর্জিত টাকা বৈধভাবে দেশে পাঠানো।”
এ অবস্থায় বৈধ পথে টাকা পাঠাতে প্রবাসীদের উৎসাহ দিচ্ছে দুবাইয়ের বাংলাদেশ কনস্যুলেট।
দুবাইয়ে বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল বিএম জামাল হোসেন বলেন, “অসাধু ব্যক্তি বা হুন্ডিচক্র যারা মানুষকে বিভ্রান্ত করে, প্রলোভন দেখায় এবং হুন্ডিতে টাকা পাঠাতে উদ্বুদ্ধ করে। এই বিষয়টিকে নিরুৎসাহিত করে প্রবাসী সকল কর্মীদেরকে অনুরোধ করা হয়েছে তারা যেন বৈধ পথে বাংলাদেশে অর্থ প্রেরণ করেন।”
প্রবাসীরা বলছেন আমিরাতজুড়ে বাংলাদেশী ব্যাংকগুলোর কার্যক্রম এবং শাখা কম থাকায়, চাইলেও বৈধ পথে টাকা পাঠাতে পারেন না তারা।
গ্রাহকদের ঝামেলা মুক্ত লেনদেন নিশ্চিতের লক্ষ্য সেবার মান আরও বাড়ানোর কথা জানিয়েছেন ব্যাংক কর্মকর্তারা।
জনতা ব্যাংকের ইইউ অপারেশনের প্রধান নির্বাহী ও মহাব্যবস্থাপক কামরুজ্জামান বলেন, “সেবার মান উন্নয়নে রক্ষ্যে ইতিমধ্যে শাখাগুলোর সংস্কার এবং গ্রাহকসেবার উন্নয়নে কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে।”
এই দাবি বাস্তবায়িত হলে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে বলে আশাবাদী প্রবাসীরা।
Leave a Reply